মিনি ফুটবল ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শহরে কিংবা গ্রামে প্রয়োজনীয় ফুটবল মাঠের অভাবে বিশ্বের সর্বত্রই এখন এই ধারণাটি জনপ্রিয় হচ্ছে। স্বল্প পরিসরে খেলা যায় মিনি ফুটবল। অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের সংখ্যাও কম হলেও চলে।
সাধারণত: প্রতি দলে পাঁচজন, ছয়জন কিংবা সাতজন অর্থাৎ ফাইভএসাইড, সিক্সএসাইড কিংবা সেভেনএসাইড হয়েই মিনি ফুটবল খেলার আয়োজন হয়। অনেক জায়গায় প্রতিযোগিতামুলক টুর্ণামেন্টও আয়োজন করা হয় মিনি ফুটবলের।
মিনি ফুটবল মাঠের মাপ
মিনি ফুটবল মাঠের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর মাঠের মাপ। সাধারণত দৈর্ঘ্যে ২৭-৪২ গজ এবং প্রস্থে ১৭-২৭ গজ হয়ে থাকে। ফুটবল মাঠের সাধারণ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঘাসের মাঠে খেলা হলেও মিনি ফুটবল ফুটবল মাঠে টার্ফ বসানো হয়।
মিনি ফুটবলের গোল পোষ্টের মাপ কত
মিনি ফুটবলের গোল পোষ্টের আন্তর্জাতিক পরিমাপ হচ্ছে ১.৫ মিটার এবং ১ মিটার উঁচু। পোষ্টের গভীরতা ০.৫৭ মিটার।
ফুটবল এবং মিনি ফুটবলের পার্থক্য কি?
ফুটবল এবং
মিনি ফুটবলের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে খেলার মাঠের পিচ, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ এবং খেলোয়াড়দের সংখ্যার উপর।
ফুটবল যেখানে শুধুমাত্র ঘাসের মাঠে খেলা হয়, সেখানে মিনি ফুটবল টার্ফ এবং ঘাসের মাঠেও খেলা হয়।
মিনি ফুটবলের উদ্দেশ্য কি?
মূলত: আনন্দের জন্যই মিনি ফুটবল খেলার আয়োজন হয়। ছোট দুই দলে ভাগ হয়ে খেলার আনন্দই আলাদা। অনুশীলন, ফিটনেস ধরে রাখা এবং শরীর চর্চার উদ্দেশ্যেও মিনি ফুটবল খেলা হয়। শরীর-মন চাঙা রাখার জন্য মিনি ফুটবল খুবই কার্যকরী।
ছোট মাঠে এই খেলার আয়োজন করা যায় বিধায় বেশি একটা প্রস্তুতির দরকার পড়ে না। তাছাড়া বড় মাঠে দৌড়ানোর যে দম থাকতে হয় এটা এখানে দরকার পড়ে না বলে ছেলে-বুড়ো সবাই অংশ নিতে পারেন এই খেলায়।
বাংলাদেশে ক্রমেই জনপ্রিয়তা লাভ করছে মিনি ফুটবল। মিডিয়ার ব্যাপক প্রচারণার কারনে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায়
ফুটবলের জনপ্রিয়তা কিছুটা হ্রাস পেয়ে থাকবে। তবে মিনি ফুটবলের ব্যাপক প্রচলন হলে ফুটবল তার হারানো জনপ্রিয়তা খুঁজে পাবে এ প্রত্যাশা করা যায়।
মিনিবার ফুটবল বা ফুটসাল নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেল আশা করি ভাল লেগেছে। খেলাধুলার সর্বশেষ আপডেট এবং ক্রীড়া বিশ্লেষণ পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। নোটিফিকেশন অন করে রাখলে নতুন নিবন্ধ প্রকাশের সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন সংকেত।