তার দলে আসাকে অনেকেই দেখেন অন্যরা ইনজুরিতে পড়ার কারনেই সুযোগ পান তিনি। এই কথাটাকে অবশ্য পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া যায় না। অবশ্য যদি নিজেকে মেলে ধরতে পারতেন ভাল খেলার মাধ্যমে তাহলে অন্যরা কথা বলার সুযোগ পেত না। কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুন নিজেকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন নি কখনোই।
ক্যারিয়ারের শুরুতে ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। কিন্তু এই জায়গায় বাংলাদেশ দলে নিয়মিত যারা খেলছেন তারা এতটাই এগিয়ে আছেন যে তাদের রিপ্লেসমেন্ট খুঁজে বের করার চিন্তা নির্বাচকদের তেমন একটা করতে হয় না। তাই উইকেট কিপার হিসাবে দলে সুযোগ পাবার সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় মিথুন মনোযোগ দেন পুরোপুরি ব্যাটার হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ মিঠুন ভাল রান করেছেন গত দুই-তিন মৌসুমে। তাই নির্বাচকদের নজরেও পড়েছেন তিনি কিছুটা। সেই সুবাদে সুযোগ এসেছিল ওয়েষ্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে। তবে এখানেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি।
দেশের মাটিতে উইন্ডিজ সিরিজটা খুব বাজে গেছে মোহাম্মদ মিঠুন । এমনিতেই তিনি সমালোচকদের নিশানায় থাকেন; তার ওপর ঘরের মাঠে এমন ব্যর্থতার পর তাকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানারকম ট্রল। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের দলেও আছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তবে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পুরনো কথা মাথায় রাখতে চান না মিঠুন। তিনি তাকাতে চান সামনের দিকে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোহাম্মদ মিথুন বলেন, ‘কোনোকিছু নিয়ে পড়ে থাকলে ভালো কিছু আসবে না। যা চলে গেছে অবশ্যই হতাশাজনক ছিল। প্রত্যেক খেলোয়াড় অনেক কষ্ট পেয়েছে। আমরা অনেক হতাশ ছিলাম, টেস্ট দুইটা হারার পরে। যেহেতু সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ সেটাকে ভুলে নতুনভাবে শুরু করার চেষ্টা করছি।’
মিঠুনের পারফর্মেন্স মোটেও সন্তোষজনক নয়। তার ব্যাট থেকে বড় এমনকী মাঝারি রানও আসছে না। নিজের পারফর্মেন্স খারাপ হলেও উদ্বিগ্ন নন মিঠুন, ‘পারফরম্যান্স নিয়ে মানসিকভাবে কোনো সমস্যা নেই। পারফরম্যান্স হচ্ছে না এটা ঠিক। করোনার পর টুর্নামেন্টগুলোতে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। ওখান থেকে বের হয়ে আসার জন্য নিজের দিক থেকে যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সেগুলো করার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফিরছেন মাশরাফি
সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে দল ব্যর্থ হলেও ভালো করেছিলেন মিঠুন। তাই তিনি এই সফর নিয়ে বেশ আগ্রহী, ‘এখন পর্যন্ত মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া আছে। ওখানে কেমন উইকেট হবে বা কেমন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হতে পারে। এবার আমরা কোয়ারেন্টিনের জন্য অনেকদিন আগে যাচ্ছি, প্র্যাকটিসের জন্য অনেকদিন সময় পাচ্ছি, এটা একটা অ্যাডভান্টেজ। আশা করি নিউজিল্যান্ডে দীর্ঘ সময় অনুশীলন করলে আগের চেয়ে ভালো মানিয়ে নিতে পারব।’
মিথুনের সামনে এখনো সময় আছে। মুশফিক অবসর নিবেন হয়তো আগামী বিশ্বকাপ খেলে। মুশফিকের জায়গায় যারা পাইপলাইনে আছেন সেই লিটন দাশ কিংবা নুরুল হাসান সোহান বড় পারফরমার নন। তারা যদি খানিকটা ব্যর্থ হন আর মিথুন ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের মধ্যে থাকেন তাহলে অচিরেই ফিরে আসবেন মুল দলে। এমনটা হয়তো তার চিন্তাতেও আছে।