
আইপিএলে ১৮ বারের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত সফল বিরাট কোহলী

১৮ বারের চেষ্টায় আইপিএল ট্রফি জিতেছে আরসিবি। একই সাথে বিরাট কোহলী। বিশ্বক্রিকেটের প্রায় সবগুলো বড় ট্রফি লাভ করেছেন বিরাট কোহলী। কিন্তু ভারতের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট আইপিএলের ট্রফি জেতা হয়নি তাঁর। কিছুদিন আগেই অবসর নিয়েছেন এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। মনে হচ্ছিল আইপিএল না জেতার অপূর্ণতা নিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করবেন বিরাট।
কিন্তু নিয়তি হয়তো ঠিকে করে রেখেছিল খালি হাতে ফেরাবে না তাকে! বিশ্বক্রিকেটে অনেক রেকর্ডের অধিকারী এই ব্যাটারকে ক্যারিয়ারের পড়ন্ত লগ্নে ঠিকই আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
ভারতীয় লিজেন্ড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার পান্জাব কিংসের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলীর আরসিবির ফাইনাল মোকাবেলায় শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি কোহেলীর। দুই দলের জন্যই এটি ছিল প্রথম বারের মত শিরোপা জয়ের সুযোগ। যদিও এর আগে দুই দলেরই সুযোগ ছিল শিরোপা জিতার। কিন্ত শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের শিকে ছিড়েনি।
ফাইনালে জয়ী দলের সাথে বিজিত দলের ব্যাবধান ৬ রানের হলেও কয়েক ওভার আগেই পান্জাবের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ফাইনাল ম্যাচের প্রেশারে দুই দলই খেলেছে অনেক হিসাব নিকাশ করে। আরসিবির ট্যাকটিস ছিল বিরাট কোহলীকে যত বেশিক্ষণ ক্রিজে রাখা যায় ততই ম্যাচে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকা যাবে। কিন্তু ফাইনালের প্রেশারে বিরাটও খেলেছেন রক্ষণাত্মক ইনিংস। ৩৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটি দলীয় সর্বোচ্চ হলেও ষ্ট্রাইক রেট ছিলে মাত্র ১২২ যা দলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। আবার পান্জাবের ট্যাক্টিস ছিল বিরাটকে বাউন্সার ও স্লোয়ার ডেলিভারি দেয়া যাতে তারা সফল ছিল।
তবে পান্জাবের বেশি ক্ষতি করেছেন জিতেশ শর্মা তাঁর ১০ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে যেখানে ছিল দুটি করে ছক্কা ও চার। আর বোলিংয়ে ক্রুনাল পান্ডিয়া যিনি মাঝের ওভারগুলোতে বল করে পান্জাবের রানের চাকা থামিয়ে দেন। ক্রুণাল চার ওভারে দিয়েছেন ১৭ রান, উইকেট পেয়েছেন দুইটি যার মধ্যে টপ অর্ডারে প্রভিস্মরণ সিং ও জশ ইংলিশের অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। শেষ পর্যন্ত যোগ্য খেলোয়াড় হিসাবেই ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার জিতেছেন ক্রুণাল পান্ডিয়া।
আর বার বার বড় বাজেটের দল গঠন করলেও আরসিবি শিরোপা জিতেছে অষ্টাদশ প্রচেষ্টায়। এক বারে না পারিলে দেখো শতবার, কবির এই আপ্তবাক্যকেই শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করলেন বিরাট কোহলী ও আরসিবি!
