নাইটের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ,ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

নাইটের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ,ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা একের পর এক বলকে সীমান্ত ছাড়িয়ে দিচ্ছেন, আর মাঠের মাঝখানে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চোখমুখ যেন ধীরে ধীরে বিষাদে ঢেকে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা বাউন্ডারির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের জয়ের সেই উজ্জ্বল স্বপ্নটাও ক্রমশ ম্লান হয়ে আসছে।

গুয়াহাটির মাঠে শেষমেশ বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে অন্ধকার নেমে এলো, আর ইংল্যান্ডকে জয়ের সেই মধুর হাসি এনে দিলেন হিদার নাইট। গল্পের শেষটা অন্যভাবে ঘটতে পারত, যদি আম্পায়ারদের দুটো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষে যেত। শুরুতেই শূন্য রানে নাইটের ক্যাচ নেয় নিগার সুলতানা উইকেটের পিছনে, আম্পায়ার আঙুল তুললেন। কিন্তু যথেষ্ট প্রমাণ না পেয়ে থার্ড আম্পায়ার সেই সিদ্ধান্ত উলটে দেন, আর নাইট বেঁচে যান। পরে ১৩ রানে আবার ক্যাচ ধরে স্বর্ণা আক্তার, কিন্তু টিভি আম্পায়ার গায়াত্রী ভেনুগোপালান একই কারণে আউট দেননি। ম্যাচ শেষে নাইট নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনিও তো ভেবেছিলেন নিজে আউট হয়ে গেছেন।

নাইটের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ,ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত
নাইটের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ,ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

আসলে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত নাইটের সেই অভিজ্ঞতার সামনে হেরে গেছে—এমন বললে কোনো ভুল হবে না। ৩৪ বছর বয়সী নাইট একাই ১৫০ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে বাংলাদেশের দল এই ফরম্যাটে মাত্র ৭৯টা ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু এসব তথ্য সত্ত্বেও নারী বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হারার আঘাতটা কমেনি! ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে তো প্রতিটা ম্যাচেই এভাবে চাপে ফেলা সম্ভব হয় না।

মাত্র ১৭৯ রানের সহজ লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়েও বাংলাদেশকে আশা জাগিয়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। ১০৩ রানে ইংল্যান্ডের ৬টা উইকেট ফেলে দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তো তৈরি হয়েই গিয়েছিল। কিন্তু ৩ নম্বরে নামা নাইটের ১১১ বলে ৭৯ রানের অপরাজেয় ব্যাটিংই শেষমেশ সব স্বপ্ন ভেঙে দিল।

ফাহিমা খাতুনের ৩ উইকেট

বল নিয়ে শুরুটা ছিল দুর্দান্ত—প্রথম ওভারের শেষ বলেই মারুফা আক্তার নামিয়ে দেন প্রথম উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে তিনি টেমি বেমন্টের ক্যাচ ফেলে দিলেও, ২৯ রানে ইংল্যান্ড যখন চাপে, সেই বেমন্টকেই তিনিই ফিরিয়ে দেন। ২ উইকেট হারানোর পর ইংল্যান্ড ন্যাট সিভার-ব্রান্ট আর নাইটের ৭৩ বলে ৪০ রানের অংশীদারিত্বে সামলে ওঠে। কিন্তু সেখান থেকে ম্যাচটা আবার বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দেন ফাহিমা খাতুন।

৩ বলের ব্যবধানে ফাহিমা আউট করেন ৪১ বলে ৩২ রান করা ব্রান্টকে, আর ৩ বলে শূন্য রান করা সোফিয়া ডাঙ্কলিকে। পরে এমা ল্যাম্বও পড়েন ফাহিমার জালে। ইংল্যান্ডের ৬ নম্বর উইকেট পড়ে ১০৩ রানে, যখন সানজিদা আক্তার ফিরিয়ে দেন অ্যালিস ক্যাপসিকে।

একসময় জয়ের জন্য ৪ উইকেট রেখে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৭৬ রান। কিন্তু সেখান থেকে চার্লি ডিনের সঙ্গে নাইটের ৭৯ রানের জুটিই ম্যাচটা তাদের দখলে নিয়ে আসে।

এর আগে বাংলাদেশের স্কোর ১৭৯ পর্যন্ত পৌঁছেছে মূলত দুই ব্যাটারের জোরে—সোবহানা মোস্তারি আর রাবেয়া খান। ৩ নম্বরে নামা সোবহানা ৪৭তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ১০৮ বলে ৬০ রান বানান। আর ৯ নম্বরে নেমে রাবেয়া ২৭ বলে ৬টা চার আর ১টা ছক্কায় ৪৩ রানের জোরালো ইনিংস খেলেন।

Source :

Related posts

Leave a Comment