পাওয়ার হিটার ব্যাটারের অভাবে হারল বাংলাদেশ

পাওয়ার হিটার ব্যাটারের অভাবে হারল বাংলাদেশ

পাওয়ার হিটার ব্যাটারের অভাবে টি২০ বিশ্বকাপের গ্রুপম্যাচে হার দিয়ে শুরুহয়েছে বাংলাদেশের। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রানের ব্যবধানেহার মেনে নিতে হয়।টসে জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটংয়েরআমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

শুরুতেনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন বাংলাদেশেরবোলাররা। পাওয়ার প্লের ওভারে বাংলাদেশেরবোলাররা খরচ করেন মাত্র২৫ রান। বিনিময়ে উইকেট তুলে নেন স্কটল্যান্ডের।তাসকিন আহমদ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সুন্দর সূচনা এনে দেন বাংলাদেশকে।

পাওয়ারপ্লে শেষ হবার পর বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। ধারাভারষ্যকাররা অবশ্য তাতে কিছুটা বিস্মিত হন। যেহেতু সাকিব আইপিএলে পাওয়ারপ্লেতেই বোলিং করেছেন তাই তাকে আরওআগেই আনা উচিত ছিল।

সাকিবা এবং মেহেদি হাসানের স্পিন বোলিংয়ে বিপর্যস্ত হয় স্কটল্যান্ড। একপর্যায়েতারা হারায় উইকেট মাত্র৫৩ রানের বিনিময়ে। সেখান থেকে অনেকেই অনুমানকরেছিলেন হয়তোবা ১০০ রানের মধ্যেইআটকে যাবে স্কটল্যান্ড। 

কিন্তু নাম্বারেব্যাট করতে নামা ক্রিসগ্রেভ এবং মার্ক ওয়াটসব হিকাশ নিকাশ ওলট পালট করেদেন। ক্রিস করেন ৪৫ রানমাত্র ২৮ বলে। আউটহয়েছেন শেষ ওভারে। চারটিচার দুটি ওভারবাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের প্রারম্ভিকসাফল্যকে পানশে করে দেন। তাকেযোগ্য সঙ্গ দেন মার্কওয়াট। ১৭ বলে বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ২২ রান।

 

১৪০রান টি২০ ক্রিকেটেএমন আহামরি কোন স্কোর নয়। তদুপরি খেলার হোম গ্রাউন্ড ওমানযেখানে প্রায় বাংলাদেশের সমান পিচ। তাছাড়া স্কটল্যান্ডের বোলিংও খুব একটা আহামরি নয়। তবুও এই সহজলক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পাওয়ার হিটার ব্যাটারের অভাবে খোলসের মধ্যে বন্দী হয়ে পড়েন।

শুরুতেই অল্প রানে আউট হয়েযান দুই ওপেনার। সৌম্যকরেন বলে ৫।একটি চার মারার পরেরবলেই আউট হয়ে যান।লিটন দাস কোন বাউন্ডারিহাকাতে পারেন নি। বলে রান করেই তিনিওদ্রুত পাততাড়ি ঘোটান।

পাওয়ার হিটার

এরপরদলের দুই অভিজ্ঞ এবংসেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান এবংমুশফিকুর রহিম টি২০তেএসে অনেকটা টেষ্ট মেজাজে খেলা শুরু করেন।এ ই দুইজন ক্রিজে থাকা সত্বেও পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ নিতে পেরেছে মাত্র ২৫ রান দুই উইকেটে বিনিময়ে। মুলত: এখানেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। টিভি ধারাভাষয়কার মুরলী বিজয় আশা করেছিলেন বাংলাদেশ ৫৫ রান নিবেপা ওয়ার প্লে থেকে। সেইরানের অর্ধেকও নিতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা পাওয়ার হিটার ব্যাটারের অভাবে। তবে কোনমতে যদি৪০ রানও নেয়া যেত পাওয়ার প্লে থেকে তাহলেওএ মন লজ্জাজনক হার মেনে নিতেহত না।

আরও পড়ুন:ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ

সাকিব, মুশফিক আর মাহমুদূল্লাহ বাংলাদেশের তিন সেরা খেলোয়াড়। তিনজনের খেলাই টি২০ ধাঁচের ছিলনা। তাই আস্কিং রানরেটের সাথে পাল্লা দিতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষদিকে আফিফ এবং মেহেদি চেষ্টা করেছিলেন। তাদের ব্যাটিংটাও ছিল টি২০ টাইপের। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। বলে মেহেদি হাসান এক ছক্কা এক চারে করেছেন ১৩রান। আফিফ করেছেন ১২বলে ১৮ রান। দুটি চার মেরেছেন তিনি।

এই খেলায় পাওয়ার হিটার এ বাংলাদেশের দুর্বলতা প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে। সত্যিকারেরটি২০ সুলভ হার্ডহিটার বা ক্লিন হিটার বা পাওয়ার হিটার নেই বললেই চলেবাংলাদেশের। তাই টি২০ক্রিকেটেও বাংলাদেশ হারছে যেকোন দলের সাথেই। স্কোরবোর্ডে১৩০ এর বেশি রানপ্রতিদ্বন্দী দল করতে পারলেইকঠিন চ্যালেন্জে পড়ে বাংলাদেশ। তাইহার্ডহিটার ব্যাটার পাওয়া না গেলে বাংলাদেশদলকে ঘিরে যে হতাশাআছে সেটা থেকে  সহসা মুক্তির কোনপথ খোলা নেই।

Related posts

Leave a Comment