নতুন কোন দেশ যে এবারের T-20 ক্রিকেটের বিশ্বকাপের শিরোপা নিচ্ছে এটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল সেমিফাইনালেই। ফাইনালের দুটি দলই যে এর আগে কখনোও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি কুড়িওভারের ক্রিকেটে!
t-20 বিশ্বকাপের প্রথম সেমিতে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উন্নীত হয় নিউজিল্যান্ড। অপরদিকে দ্বিতীয় সেমিতে এবারের টুর্ণামেন্টের একমাত্র অপরাজিত দল আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্থানকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে অষ্ট্রেলিয়া।
তাই এবারের বিশ্বকাপ নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে এটা নিশ্চিত হয়েই খেলা দেখেছেন দর্শক। টসে জিতে এবেআরের বিশ্বকাপের ট্রাডিশন হয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠাও। ফাইনালেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।টসে জিতে তাই কোনরকম চিন্টা না করেই নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান অসি ক্যাপ্টেন।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ রয়ে সয়ে খেলেন মারকূটে কিউই ওপেনার মারটিন গাপটিল। অপরপ্রান্তে t-20 সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের জয়ের নায়ক ডেরেল মিশেল ছিলেন কিছুটা আক্রমনাত্মক। কিন্তু সেমিফাইনালের ফর্ম ফাইনাল পর্যন্ত টেনে আনতে পারেননি মিশেল। ৮ বলে ১১ রান করে দলী ২৮ রানে বিদায় নেন তিনি। এর মধ্যে মেরেছেন একটি ওভার বাউন্ডারি।
দলীয় ২৮ রানে প্রথ উইকেট পতনের পর ওয়ানডাউনে মাঠে নামেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টুর্নামেন্টে নিজের সেরা খেলাটা হয়তো ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছিলেন কেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন তিনি t-20
ফাইনালে। ৪৮বলে কেন উইলিয়ামসন করেন ৮৫ রান। মেরেছেন দশটি চার। তারচেয়েও বড় ৩টি দৃষ্টিনন্দন ছয়ের মার।
কেনকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন অপেনার গাপটিল ও গ্লেন ফিলিপস। ১৭ বলে ১৮ রানকরেন গ্লেন। একটি করে চায়ও ছয় মেরেছেন তিনি। সেমিফাইনালে একটি ক্যামিও খেলে ইংল্যান্ডের হিসাব নিকাশ ভন্ডুল করে দিয়েছিলেন জিমি নিশাম। ফাইনালেও বিস্ফোরক হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু যঠেষ্টব ল না থাকায় বেহসিএকটি ঝুকি নেননি নিশাম।১৩ বলে ১৭ রানকরে আউট হন নিশাম।
টিম সেইফার্ট করেন ৬ বলে ৮ রান। কেন উইলিয়ামসন ছাড়া বড় স্কোর গড়তে পারেননি আর কেউই। ষ্ট্রাইকরেটও খুব বেশি ছিল না। তাই t-20 ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের রান আটকে থাকে ১৭২ রানে।
এরকম টার্গেট দুটি সেমিফাইনালেই পরে ব্যাট করা দল চেজ করে জিতেছে। তাই অষ্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক নিশ্চয়ই মূচকি হেসেছিলেন!
রানটা যে হাতের নাগালে রবাইরে যায়নি সেই তৃপ্তির হাসি।
আরও পড়ুন: প্রথম ম্যাচে জয়ী পাকিস্থান!! বাংলাদেশের ব্যর্থতা অব্যাহত
অষ্ট্রেলিয়ান ইনিংসের শুরুতে ট্রেন্ট বোল্টের বল একটি দেখে–
শুনে খেললেও বাকি বোলারদের তোড়াই কেয়ার করেন অষ্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা। যদিও নিজস্ব ৭ এবং দলীয়ে ১৫ রানে ফেরত আসেন অধিনায়ক অ্যারল ফিঞ্চ। ওয়ান ডাউনে নামা মিশেল মার্শ প্রথম ৩ বলেই মারেনবা উন্ডারি। এক ছক্কা ওদুটি চারে ৩ বল শেষে তার সংগ্রহ ছিল ১৪ রান!
শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫০ বলে ৭৭ রানের ম্যাচজয়ী একটি ইনিংস উপহার দেন মিশেল মার্শ। চারটি ছক্কার সাথে মেরেছেন ৬টিবাউন্ডারি। ওপেনার ওয়ার্নার করেন ৩৮ বলে ৫৩ রান। ৩টি বিশালছক্কা এবং চারটি চার মেরেছেন ওয়ার্নার। দলীয় ১০৭ রানেওয়ার্নার আউট হলেও জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই নি:
সন্দেহ হয়ে গিয়েছিল অষ্ট্রেলিয়া।
গ্লেনম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে ২৮রানের একটি ক্যামিও খেলে আনুষ্টানিকতা শেষ করেন। তাতেছিল চারটি চার ও একটিছক্কা।
বড়ম্যাচ জিততে হলে বিগ টেম্পারমেন্টের দরকার আছে। অষ্ট্রেলিয়া এটা বিভিন্ন টুর্নামেন্টেই দেখিয়েছে। তাই এবারের টি–
২০ টুর্নামেন্ট ভবিষ্যতের আরও অনেক টুর্নামেন্ট জয়ের প্রথমটিই মনে করছেন অনেকে।