পাকিস্থানের জয়রথ থামিয়ে ফাইনালে অষ্ট্রেলিয়া
শেষপর্যন্ত পাকিস্থানের জয়রথ থামল বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে এসে। এমনই একম্যাচে যেখান থেকে একটি হারই সব স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটাল। রানরেটের কঠিন সমীকরনে দক্ষিণআফ্রিকাকে পিছনে ফেলে ভাগ্যের সহায়তা নিয়ে সেমিতে উত্তীর্ণ হওয়া অসিরা বিদায় করে দিল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল পাকিস্থানকে।
প্রথম সেমিফাইনালের ন্যায় এই ম্যাচেও টসজয়ী দল প্রতিপক্ষকে আমন্ত্রণ জানায় আগে ব্যাটিংয়ের। ভাগ্যের ফেরে পাকিস্থানকেই বেছে নিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের পালা। বড় ম্যাচে প্রতিদ্বন্দী দলকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েটি–২০ ক্রিকেটে রানচেজ করার সময় হিসাব নিকাশ কষে আগানো যায়।এই কারনেই আরব আমিরাতের মরুভূমির উইকেটে টস জয়ী দলেরপছন্দ প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো।
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ছিল অনেকটা প্রথম সেমি ফাইনালের পূনরাবৃত্তি। খেলার বড় একটা সময়জুড়েই পরাজিত দল এগিয়ে ছিল।কিন্তু গুরুত্বপূর্ন মুহুর্তে অসামান্য নৈপূন্য প্রদর্শন করে ম্যাচ বেরকরে নিয়েছেন কুশলী খেলোয়াড়রা। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে পাওয়ার হিটিংয়ের অনবদ্য প্রদর্শনী দেখিয়ে ইংল্যান্ডের বিদায়ঘন্টা বাজান কিউই অলরাউন্ডার জিমিনিশাম। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে অনেকটা নাটকীয়ভাবে একওভার হাতে রেখেই পাকিস্থানকে বিদায় করে দেন ম্যাথ্যুওয়েড। নিশাম করেছিলেন ১১ বলে ২৭।ম্যাথ্যুওয়েড ১৭ বলে ৪১।দুদলের খেলায় আগের ম্যাচের স্ক্রিপ্টমিলে যায় আরও অনেকক্ষেত্রেই।
ব্যাটিংয়েনেমে পাকিস্থানের দুই অপেনার অনেকটা দেখেশুনেই খেলতে থাকেন। তাই রান রেটমাঝারি গতিতে আগাতে থাকে। ইনিংসের প্রথমভাগে পাওয়ারপ্লেতে উইকেট না হারানো সত্বেও১০ ওভারশেষে পাকিস্থানের রান ছিল ৭১/১ যা খেলাশেষেমনে হয়েছে আরেকটু বেশি হতে পারত।কারন পাওয়ারপ্লেতে অষ্ট্রেলিয়া পাকিস্থানের চেয়ে বেশি রানকরেছে। এছাড়াও ওভারপ্রতি তুলনায় অষ্ট্রেলিয়া পাকিস্থানের চেয়ে এগিয়ে ছিলখানিকটা।
১২০বলের খেলায় পাকিস্থানের শুরুর দিকের তিন ব্যাটারই খেলেছেন ১১৮ বল। টপ অর্ডাররান পেলে সাধারনত দলেরস্কোর বড় হয়। সেমিফাইনালম্যাচেও তাই বড় স্কোরগড়া অপরিহার্য। যেহেতু টি–২০ ক্রিকেটেকোন স্কোরই নিরাপদ নয়, তবুও বড়স্কোর হলে কিছুটা ভরসারাখা যায়।
উইকেটহাতে থাকা সত্বেও পাকিস্থানেরটার্গেট তাই কমপক্ষে দুইশস্কোর হওয়া উচিত ছিল।ইংল্যান্ডের চেয়ে পাকিস্থান করতেপেরেছে দশরান বেশি। সেটা লড়াকু স্কোর।কিন্তু নিশ্চিন্ত হওয়ার মত কিছু ছিলনা।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন অষ্ট্রেলিয়া
তাই অষ্ট্রেলিয়াও রান চেজে নেমে ভড়কে যায়নি। এমনকি ১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েও। অষ্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা গ্লেন ম্যাক্সোয়েলও কিছু করতে পারেননি। তবুওজয় লক্ষী ধরা দিয়েছে অষ্ট্রেলিয়ার হাতে। কারন অসিরা হাতখুলে খেলেছ। ভয়ডরহীন ক্রিকেট। সেটাই তাদের পৌঁছে দিয়েছে ফাইনালে।
ম্যাথ্যুওয়েডের ১৭ বলে ৪১ রানের ক্যামিওর কোন জবাব ছিলনা পাকিস্থানের কাছে। অথচ শুরুতে পাকিস্থানের ব্যাটাররা রান পেয়েছেন। তাদের অন্তত: একজন যদি ২০০ ষ্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালাতেন তাহলে তাদের স্কোর বোর্ড আরো স্ফীত হতে পারত।
শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। অষ্ট্রেলিয়ান ইনিংসে ১০০ রানের মধ্যেই ৫ উইকেটের পতন হয়েছে। কিন্তু যেহেতু রান রেট ভালছিল আর উইকেটে ম্যাচ বের করে নেয়ার মত খেলোয়াড় ছিল তাই জয়ের নোঙর তীর ভেড়াতে কোন অসুবিধা হয় নি তাদের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের।