আইরিশদের কাঁদিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নামিবিয়া
বিশ্বকাপ টি-২০ গ্রুপ এ‘র শেষ ম্যাচেদুই দলেরই সম্ভাবনা ছিল সমান। তবে আয়ারল্যান্ড টেষ্ট প্লেইং নেশন। টি–২০ তে সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সও যথেষ্ট ভাল। অনেক বড় দলকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে তাদের। তাই প্রাথমিকভাবে এগিয়ে ছিল আইরিশরাই।
আফ্রিকান দেশ নামিবিয়া ক্রিকেট পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশ। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকার আণুকুল্যে ক্রিকেটের কিছুটা চর্চাও আছে তাদের দেশে। সেখানে বসবাসরত বৃটিশদের কিছু উত্তরসূরী এখনওখেলে যাচ্ছেন ক্রিকেট।
আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশ নেয় নামিবিয়া।সেজন্য বাছাইপর্বের প্রাথমিক ধাপ হতে উন্নীত হতে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি। তবে বিশ্বকাপের মূলপর্বের প্রথম অংশে সেরা ৫ সহযোগী দেশ এবং তিনটি টেষ্ট সদস্যরাষ্ট্র নিয়ে লীগপর্বের খেলায় শেষ পর্যন্ত শীর্ষ চার দলের একটি হিসাবে সুযোগ পেয়েছে নামিবিয়া।
শ্রীলংকার সাথে গ্রুপ এ’র প্রতিদ্বন্দী তিনটি দলি পরাজয় বরণ করে। নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নামিবিয়া সবগুলো দলই পরাভূত হয় লংকান শিবিরের সাথে। তবে গ্রুপপর্বের ম্যাচে প্রথম নেদারল্যান্ডের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দেয় নামিবিয়া। আইরিশরাও হারায় ডাচদের। ফলে জমে উঠে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থান নির্ধারনী খেলা।
হারলেই বিদায়, এরকম সমীকরন হাতে নিয়ে খেলতে নেমে ভাল সূচনা করেছিল আয়ারল্যান্ড। একপর্যায়ে ১৪.২ বলে ২ উইকেটের বিনিময়ে আইরিশদের সংগ্রহ ছিল ৯৪ রান। হাতে ৮ উইকেট নিয়ে এখান থেকে তারা হয়তো দেড়শ পেরিয়ে যেতেও পারত।
কিন্তু হঠাৎ করে মড়ক লাগে আইরিশ শিবিরে। শেষ ৩৪ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড নিতে পেরেছে মাত্র ৩১ রান। পল ষ্টার্লিং (৩৮), কেভিন ওব্রায়েন (২৫) এবং বলবার্নি (২১) কেবল পৌছান ডাবল ফিগারে। বাকিরা ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত ১২৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে নামিবিয়া।
শুরুতে উইকেট হাতে রেখে ধীরগতির ব্যাটিং শুরু করে নামিবিয়া। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় তাদের মধয়ে তেমন তাড়া ছিলনা দ্রুত রান তোলার। তবে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানই রান করেছেন ডাবল ফিগারে। অপেনার উইলিয়ামস ১৬ বলে ১৪ রান করলেও অপর অপেনার গ্রীণ মাত্র ৭৫ ষ্ট্রাইক রেটে ৩২ বলে রান করেন।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ: সুপার লীগে ভাল করার প্রত্যাশায় বাংলাদেশ!
এসময় কিছুটা চাপে পড়ে নামিবিয়া। তবে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ভিসা অধিনায়ক ইরাসমাসকে নিয়ে বিপদ শংকুল পথ পাঁড়ি দেন। উইকেটে এসেই পরপর দুইটি চার মারেন ভিসা। তাতে রান আর বলের দূরত্ব অনেকটাই কমে যায়। এরপর ম্যাচটি জিতে নিতে আর সমস্যা হয়নি। ৪৯ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলে ইরাসমাস, মেরেছেন ৩টি চার ও একটি ছক্কা। ভিসা সংগ্রহ করেন ১৪ বলে আটাশ রান। দুটি ছক্কার সাথে ছিল একটি চার।