ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ

ক্রিকেট

c প্রথম খেলায় যা কিছু একটালড়াই করার সুযোগ ছিল।কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আর দাঁড়াতেই পারলনা ব্যাঘ্র শাবকরা। গত বিশ্বকাপের মুলপর্বথেকে শুরু করে একটানাহেরেই চলেছে বাংলাদেশ। এক বছরে সর্বোচ্চটি২০ ম্যাচ হারেরএকটি অনাকাংক্ষিত রেকর্ডে নিজেদের নাম বসিয়েছেন মাহমুদুল্লাহবাহিনী।

বিশ্বকাপেরদল থেকে জনকে বাদ দিয়ে যেদল সাজানো হয়েছে সেখানে তরুণ অনভিজ্ঞখেলোয়াড়দের প্রাধান্য বেশি। তারা এসেই তাকলাগিয়ে দিবেন এরকমটি কেউ মনে করছেননা। তবে নিজেদের মাঠেখেলার একটা সুবিধা বিশ্বেরসব দলেরই থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় ঘরের মাঠ কিংবাবাইরের মাঠ সব একই।অন্তত বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে বছরের কুড়িবিশের খেলায় কথা ধ্রুবসত্যি।

টিটুয়েন্টিতে শুরু থেকে শেষপর্যন্ত হিসাব কষে খেলতে হয়।সেজন্য প্রতিটি মুহুর্তই গুরুত্বপূর্ন। যেকোন খেলায় একটি কিংবা দুটিওভার খেলার সার্বিক পরিসি্থিতি পাল্টে দেয়। কিন্তু বিশওভারে খেলায় ৫৭টি ডট বলদিলে আর থাকেই কী! খেলা পর্যবসিত হয় একতরফা প্রাধান্যের।বাংলাদেশ দল দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রাধান্যবিস্তার না করে প্রাধান্যেরশিকার হয়।

ভালস্কোর গড়ার জন্য সবচেয়েবেশি দরকার ওপেনিং ব্যাটারদের রান পাওয়া। এক্ষেত্রেবাংলাদেশের ওপেনাররা হয়ে যাচ্ছেন প্রতিপক্ষেরবোলারদের সহজ টার্গেট। প্রথমদুই কিংবা তিন ওভারের মধ্যেইবাংলাদেশের ওপেনাররা ফিরে আসেন। এজন্যবেশি চাপের শিকার হন মিডল অর্ডারব্যাটাররা। ওপেনাররা ভাল না করলেযেকোন দলের পক্ষেি বড়স্কোর তোলা কঠিন।

আর উদ্বোধনী ব্যাটাররা রান পাচ্ছেন দেখেইশীর্ষদলগুলোকে তেমন একটা ভাবনায়পড়তে হয়না। দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচেপাকিস্থানের সেরা ব্যাটসম্যান বাবরআজম শুরুর দিকে আউট হয়েগেলেও তার দল তেমনএকটা বিপদে পড়েনি। কারন অন্যপ্রান্তের ওপেনিংব্যাটসম্যান এবং তিনে নামাব্যাটার রান পেয়েছেন। দ্বিতীয়উইকেট জুটিতেই তারা ম্যাচ বেরকরে নিয়েছে।

নিকটঅতীতে ওপেনাররা রান পেয়েছেন দেখেইবাংলাদেশ কিছুটা ভাল করতে পেরেছে।যদিও তামিম এবং ইমরুল কায়েসেরসমালোচনা করা হয় ষ্ট্রাইকরেটনিয়ে। তাদের জায়গায় যারা সুযোগ পাচ্ছেনতারাও তো ভাল কিছুকরতে পারছেন না। ওপেনার নাইমশেখ কম ষ্ট্রাইক রেটনিয়েও মাঝে মাঝে কিছুটারান করতে পারেন বলেদলে তার স্থান প্রায়পাকা করে নিয়েছেন। কিন্তুঅন্যপ্রান্তের ওপেনার হিসাবে সেভাবে কারো উপর নির্ভরকরার মত কোন উপায়মিলছে না নির্বাচকদের।

দলেথাকলে সাকিব আল হাসান তিনেনামেন। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে এইস্থানে কেউই স্থির হতেপারছেন না। ওপেনারদের সাথেওয়ানডাউনে নামা ব্যাটারও পাততাড়িগুটিয়ে চলে আসেন পাওয়ারপ্লেরমধ্যেই। তাতে দলের বিপদশুধু বাড়েই।

বিশ্বকাপপরবর্তী দল থেকে অভিজ্ঞমুশফিকুর রহিমকে বাদ দেয়াটা নির্বাচকদেরখুবই অবিবেচনপ্রসূত সিদ্ধান্ত। মুশফিক থাকলেই দল আহামরি কিছুকরতে পারত না। তবেমিডল অর্ডারে কিছুটা রান করতে পারলেস্লগ ওভারে ব্যাটাররা হাত খুলে খেলারফুরসৎ পেতেন। বর্তমানে বেশিরভাগ উইকেট পনের ওভারের মধ্যেইপড়ে যাওয়াতে স্লগ ওভারেও হাতগুটিয়ে খেলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারল না বাংলাদেশ

ধারাবাহিকব্যর্থতার এই হার থেকেসহসা উত্তরণের কোন উপায় দেখাযাচ্ছে না বাংলাদেশের জন্য।যদি না আবার জিম্বাবুয়েকেআমন্ত্রণ জানিয়ে কিছু ম্যাচের আয়োজনকরা হয়!

Related posts

Leave a Comment