পেট্রো ডলারের বিশাল ভান্ডার। বিলাসী জীবনযাত্রা। কোথাও জবাবদিহিতা নেই। এযেন মধ্যযুগের রাজা–
বাদশাহদের সময়। সৌদী কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য রাজপরিবার গুলোর অঢেল অর্থবিত্ত চলে যাচ্ছে ইউরোপে।
অন্যকথায়,
ইউরোপীয়ানরা পাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল অর্থ ভান্ডার। সৌদি রাজপরিবার এক্ষত্রে যোজন যোজন এগিয়ে। যুবরাজ সালমান টাকা পয়সা খরচে দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন না। ইউরোপের বিভিন্ন শহরে তাদের রাজকীয় প্রাসাদগুলো এর সাক্ষ্যবহন করছে।
এসব প্রাসাদে সাধারনত কেউ থাকেন না।যখন রাজপরিবার হলিডে কাটাতে আসেন তখনই শুধুমাত্র লোকজন দেখা যায় প্রাসাদোপমঐ সব বাড়ীতে। কোন কোন জায়গায় শুধু একটি বাড়ি নয়,
পুরো গলি কিনে নিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাজপরিবারগুলো। বানিয়েছেন প্যালেস।
বাড়ি কিংবা গলিতে তাদের বিনিয়োগ অবশ্য সামান্যই। যতটা বিনিয়োগ তারাকরে থাকেন ইউরোপের বিভিন্ন খেলাধুলায়। ফুটবলে মধ্যপ্রাচ্য কিংবা সৌদি রাজপরিবারের বিনিয়োগ বিশাল।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল ইউনাইটেড মালিকানায় পরিবর্তন এসেছে।
এমন একটি দিন যে আসতে পারে,
হয়তো কখনো আশাই করেননি নিউক্যাসল ইউনাইটেড’র সমর্থকেরা। অবশেষে ১৪টি কঠিন মৌসুমপার করার পর নতুনএ ক দিগন্তের দেখা পেলেন ‘
দ্যম্যাগপাই’ সমর্থকেরা। মাইক অ্যাশলেকে সরিয়ে নতুন মালিক পেয়েছে যুক্তরাজ্যের এই দলটি।
এই প্রাপ্তি অসাধারন। কারন,
মালিকানার দিক থেকে এখন সবচেয়ে ধনীক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড
। যাদের সম্পত্তির পরিমাণ ৩২০ বিলিয়ন পাউন্ড(
৩৭ লাখ ৩৪ হাজারকোটি টাকাসউদী মালিকানাধীন কনসোর্টিয়াম পাবলিক ইনভেস্ট ফান্ড (
পিআইএফ)
নিউক্যাসল ক্লাব কিনে নিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আবার সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
তবে পিআইএফ ছাড়াও মালিকানায় যুক্ত আছে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান–
পিসিবি ক্যাপিটাল পার্টনার্স এবং দুই বিলিয়নিয়ার ভাই ডেভিড রুবেন ও সিমন রুবেনের প্রতিষ্ঠান। তবে ধারণা করা হচ্ছে,
এককভাবে মালিকানার ৮০ শতাংশই হচ্ছে পিআইএফের।
যদিও চলতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে নিউক্যাসল ইউনাইটেড’র অবস্থান খুব একটা ভাল নয়।এই মুহুর্তে পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানীতে দ্বিতীয়স্থানে অবস্থান করছে তারা। তবে এখনো প্রিমিয়ার লীগের অনেক খেলা বাকি। তাই কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে হয়তো রেলিগেশন বাঁচাতে পারবে নিউক্যাসল।
আরও পড়ুন:নিউক্যাসলের চোখ এখন বড় খেলোয়াড়দের দিকে!
প্রফেশনাল এই ক্লাবটি পয়েন্ট টেবিলে প্রায় নিয়মিতই মাঝারি সারিতে অবস্থান করে। তবে মাঝেমধ্যে বড় দলগুলোকে হারিয়ে কিংবা পয়েন্ট বঞ্চিত করে সারপ্রাইজ উপহারদেয়। আপাতত সৌদি রাজপরিবারের বিনিয়োগ পেয়ে আর্থিক অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত থাকবে। আগামী মৌসুমে হয়তো ভাল দলগড়ে চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে নিউক্যাসল।
আরও পড়ুন: ওমানের বিরুদ্ধে মান বাঁচল বাংলাদেশের